Monday, September 4, 2017

প্রফেশনাল ইউটিউবার হতে চান? এদিকে আসুন | কিভাবে নতুন Youtube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন |

হাই বন্দুরা কামরুজ্জামান সোহাগ এবার ইউটিউব নিয়ে পোস্ট করব 

তাহলে শুরু করা যাক-- 

আমরা স্বভাবত ভিডিও তৈরির জন্য যে সব আইডিয়ার ভিডিও বানাই তা সাধারনত টিউটোরিয়াল, প্রাঙ্ক ভিডিও অথবা অন্যের ভিডিওর ভেতরে সিমাবদ্ধ থাকে। আবার নতুনদের তো প্রথমেই মনে হয় ভিডিও বানানো হয়তো বেশ শ্রম এবং ব্যায়সাধ্য ব্যাপার।…… (কিচ্ছু বল্লাম না আর। অন্যের ভিডিওরে হাজার দিক থেকে এডিট কইরা সেটা ইউটিউবে ছাড়ার জন্য পরিশ্রম আরো বেশি যায় ব্রো) তো বলুন কি করতে পারি ?

 – একটু ভাবুন আপনি কোন জিনিসটা ভালো পারেন। নাচ,গান, ছবি আকা, মাইক্রোকন্টোলিং, রান্নাবান্না, সাজগোজ, সাইকেল স্টান্ট, অথবা ডেইলি মুভি, নিউজ, খেলাধুলার আপডেট। এসবের ভেতর কোন না কোন একটা জিনিসে আপনার অবশ্যই আগ্রহ আছে। আপনি সেটিকে বেছে নিয়ে সেটির উপরে ভিডিও বানাতে পারেন। প্রশ্ন করতেই পারেন এতে করে লাভ কি? ভাই ! ঘুরে ফিরে সেই এক কথাই আসলো। আপনি যদি আপনার আগ্রহের বিষয়টিকে আপনার চ্যানেলের নিশ করে নিন তাহলে নিঃসন্দেহে ভিডিও ক্রিয়েশনটা ভালো হবে।

প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করার দরকার নেই। সপ্তাহে একটা অথবা মাস দুইটা করে ভালো ভিডিও আপলোড করুন। এসইও করুন। মাস ছয়েক পরে সাবস্ক্রাইবারের অভাব হবে না।

এবার আসুন কাজের কথাতে--

 আপনাদের কাছে আমার দৃষ্টিকোন হতে নতুন এবং অভিজ্ঞ ইউটিউবারদের জন্য আটটি আলাদা রকম ভিডিও ক্রিয়েশন আইডিয়া উপস্থাপন করবো। এবং মজার ব্যপার হচ্ছে ভিডিও রেকর্ড এনাবেল একটি স্মার্ট ফোন এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ছাড়া কোন খরচই লাগবে না এই আইডিয়া গুলো নিয়ে কাজ করতে।শুধু হাই সিপিসি দেখে আর কতো ভিডিও বানাবেন ? তো চলুন শুরু করা যাক….. 


#অরিগামি_টাইপের_জিনিসের_উপর_ভিডিও – 

অরিগামি মানে কাগজকে টুকরা না করে শুধু মাত্র ভাজ করে সেটি দিয়ে পাখি, নৌকা, ফুল এই টাইপের জিনিস বানানো। এছাড়া ফেলনা জিনিসকে (প্লাস্টিকের বোতল, পুরাতন কলম, পন্য বহনকারি কার্টুন, ফেলে দেওয়া বাক্স) কাজে লাগিয়ে কি করে ব্যবহার যোগ্য জিনিস বানানো যায় তার উপরে অসংখ্য ক্রিয়েটিভ ভিডিও বানাতে পারেন।

# ঘরোয়া কাজের উপর ভিডিও বানাতে পারেন – 

যেমন বই বাধাই করা, ঘোলা আয়না কি করে পরিষ্কার করা যায়, রান্নাবান্না, সেলাই, বাগান পরিচর্যা এসব টপিকের উপর ভিডিও বানাতে পারেন। এসব জিনিস অনেকেই খুজে ইউটিউবে। তার মানে বেশ ভালো অঙ্কের সাবস্ক্রাইবার পাবেন। 

#পেইন্টিং – 

পেন্টিং মানে ছবি আকা না। পেইন্টিং মানে বিশাল একটা বিষয়। আপনি যদি ভালো আঁকতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ইউটিব চ্যানেলে থ্রিডি পেইন্ট, ইলিউসন পেইন্ট, ফর্মাল পেইন্ট, এসবের উপর নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করতে পারেন। এই ভিডিও গুলো যদি ক্রিয়েটিভ এবং সহজ কিছু স্টেপের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন তাহলে এটিই হতে পারে আপনার মুল কাজের এবং আয়ের ক্ষেত্র। 

#মাইক্রোকন্টোলিং নিয়ে ভিডিও – 

জিনিসদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। রোবট, সার্কিট, ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে গ্রুপের এক জন একটা চ্যানেল করা উচিত। নিজের বানানো অথবা অন্যের আইডিয়া থেকে বানানো প্রজেক্ট গুলো নিয়ে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করে ভিডিও বানানো যেতে পারে (কেও সাবস্ক্রাইব না করলেও আমি করবো)। তাছাড়া আপনি চ্যানেলে আরো কিছু ভিডিও রাখতে পারেন যেমন নষ্ট রিমোট, টর্চ, ক্যালকুলেটর, প্রয়োজনিয় ইলেক্টনিক্স জিনিসপত্র কি করে ঠিক করা যায় তার উপর। এক বন্যা শেয়ার পেতেও পারেন। 

#হয়ে যেতে পারেন শিক্ষক –

আপনি হয়তো পিয়ানো, গীটার, তবলা বাজাতে পারেন। অথবা আপনি অনেক ভালো নাচতে পারেন। এখন আপনার মোবাইল ফোনটি ব্যাবহার করুন। ইউটিউবএ আমাদের বাংলাদেশি এখনো কোন চ্যানেল নাই যেখানে পিয়ানো, গীটার, নাচ অথবা গান শিখানো হয়। আপনি পারলে আপনিও শুরু করতে পারেন। বেশ সাড়া পাবেন। #খেলাধুলার_উপর_কিছু_করতে_পারেন – হয়তো আপনি অনেক ভালো সাইকেল চালাতে পারেন অথবা ভালো ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে পারেন। আপনি আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন রকম ক্রিকেটের ভালো শর্ট খেলার কৌশল, ভালো ফুটবল খেলার কৌশল, সাইকেলের হরেক রকম স্টান্ট, শেয়ার করতে পারেন। এই রকম বাংলা ভিডিওর অনেক অভাব আছে। 

#নিজেকে_ভালো_করে_উপস্থাপন_করতে_পারেন – 

সেই দিন ফেসবুকে এক ভাইের সাথে কথা হল/ সে ভালো আরজে হতে পারতো। হয়তো ভাগ্যের জন্য হতে পারে নাই। আপনারও হয়তো সেই মেধা আছে। সুন্দর করে আপনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড অন করে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের কিছু ঘটনাকে মজার কিছু ভঙ্গিমাতে উপস্থাপন করতে পারেন। পারলে বন্ধুদের হেল্প নিতে পারেন। মনে রাখবেন মানুষ অধিকাংশ সময় বিনোদনের জন্যই ইউটিউবে যায়। আপনি যদি আপনার এই রকম বিনোদন মুলক চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তি-যুক্ত কিছু তুলে ধরতে পারেন তাহলে সাবস্ক্রাইবার তর তর করে বেড়ে যাবে।। তাছাড়া আপনি যদি নিজেকে আর ভালো করে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে আপনি পাঠ্যবইের কিছু বিশ্রী সমস্যার সহজ এবং সাবলীল সমাধান দিতে পারেন আপনার ভিডিওতে। যেমন পিথাগোরাসের সেই উপপাদ্য, নিউটনের দাঁতভাঙ্গা প্রস্তাবনার সমাধান, গাণিতিক বিখ্যাত সমস্যা গুলোর সমাধান। আর অবশ্যই ভিডিও আপলোড করার পরে এসইও করার কথা ভুলবেন না। Video S.E.O Tutorial


#নতুন আপডেট হতে পারে একটি চ্যানেল আইডিয়া – 

এই আইডিয়া কতটা কার্যকর জানি না। তবে আমি বিদেশি কিছু নামি চ্যানেলে দেখেছি এটা। ওদের কাজ হল ওরা তাদের চ্যানেলের মাধ্যমে সাম্প্রতিক হয়ে যাওয়া ঘটনা, দুর্ঘটনা, খেলার গুরুত্বপূর্ণ হাইলাইট, এসব উপস্থাপন করে। আপনিও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। তবে ভিডিও কপি করা থেকে দূরে থাকবেন। নিজে উপস্থাপন করবেন। লাগলে কিছু ছবি এড করতে পারেন। সরাসরি কপি করবেন না। একটু আলাদা করে ভাবুন। দেখবেন ভিডিও ক্রিয়েসন আইডিয়ার অভাব পরবে না। আমার থেকেও হয়তো অনেক ভালো ক্রিয়েসন আইডিয়া আপনার আছে। 
Top 10 Popolar Nish Idea

সবকিছুর পরে ওই ২টা কথা আবার মনে করিয়ে দেই 


•কপি করা থেকে বিরত থাকুন 
•এসইও এর কোন বিকল্প নাই G


No comments:

Post a Comment